তওবা বা ইস্তেগফার মুমিনের জীবনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। তওবা ব্যতিত নিজেকে একজন মুমিন দাবী করা বোকামী। তাই প্রতিদিন বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
আমাদের প্রিয়নবী (সাঃ) এর জীবনে কোন গুনাহ না থাকার পরও তিনি প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তওবা করতেন। তাই আমাদেরও উচিৎ প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ বার তওবা করা।
তওবা করার সঠিক নিয়ম কি?
তওবা মানে হচ্ছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তাই অত্যন্ত বিনয়ী হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। যা ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তওবা বা ইস্তেগফার হিসেবে পরিচিত।

তওবা করতে হলে নিচের তওবার দোয়াটি আন্তরিকতার সাথে বেশি বেশি পড়তে হবে।
তওবার আরবি উচ্চারণ - أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
তওবা বাংলা উচ্চারণ - আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়াতুবু ইলাইহি।
তওবা বাংলা অর্থ - আমি ঐ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া আর কোন মা’বুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তার কাছেই (তওবা করে) ফিরে আসি।
সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার হচ্ছে - আস্তাগফিরুল্লাহ। যার অর্থ হচ্ছে “আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। উপরের ইস্তেগফার পড়ার সুযোগ না হলে, প্রতিদিন বেশি বেশি এই ছোট ইস্তেগফারটি পাঠ করা উচিৎ।
ইস্তেগেফার তথা তওবার শর্তাবলী
খাঁটি তওবার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। অর্থ্যাৎ তওবা কবুল হবে এমন আশা করতে হলে, নিচের শর্ত সমূহ অবশ্যই মানতে হবে।
১) তওবা শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই করতে হবে।
২) আপনি গুনাহ করেছেন, তার জন্য আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত, লজ্জিত হতে হবে এবং গুনাহ করেছেন তা আল্লাহর কাছে স্বীকার করতে হবে।
৩) ইস্তেগফার করার পাশাপাশি, সকল প্রকার পাপ কাজ বর্জন করতে হবে।
৪) যে পাপের কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন, তা সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
৫) বান্দার হক নষ্ট করলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা চাইলে যেকোন পাপ মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু বান্দার হক নষ্ট করলে তা তিনি মাফ করেন না। তাই তওবা করার আগে উক্ত ব্যক্তির হক ফিরত দিতে হবে।
৬) নির্ধারিত সময়ের আগেই তওবা করতে হবে। অর্থ্যাৎ মৃত্যু আসার আগেই তওবা করতে হবে।