শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এবং জুম্মার নামাজ এই দিন জোহরের নামাজের বদলে পড়তে হয়। জুমার দিনের গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, এই দিনের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ তা’আলা একটি সূরা নাজিল করেছে।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে মুমিনগণ, জুমার দিনের (মসজিদে) যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর কেনাবেচা বর্জন করো। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা তা জানতে। (সূরা আল জুমু’আ)
রাসূলূল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে পরপর ৩ জুমা পরিত্যাগকারীর অন্তরে আল্লাহ মোহর এঁটে দেন (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি)
আরো পড়ুনঃ মেসওয়াক করার সঠিক নিয়ম
জুম্মার নামাজ কত রাকাত ও কি কি?
মসজিদে প্রবেশ করেই সর্বপ্রথম ২ রাকাত তাহ্যিয়াতুল মসজিদ আদায় করতে করতে হবে। এটা শুধু জুম্মার দিন নয়, বরং প্রত্যেক দিন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
তারপরেই আদায় করতে হবে ২ রাকাত কাবলাল জুমা। তবে খুতবা শুরু হবার পর্যন্ত ২ রাকাত করে যতবার ইচ্ছে পড়া যাবে।
আরো দেখুনঃ ঋণ পরিশোধের আমল
তারপর খুতবা শেষে ঈমাম সাহেব জামায়াতের সহিত ২ রাকাত জুমার ফরজ নামাজ পড়াবেন।
জামায়াত শেষ হলে, ৪ রাকাত বা’দাল জুমা পড়তে হবে। তবে বাড়িতে গিয়ে পড়লে ২ রাকাত পড়তে হবে।
জুম্মার নামাজের নিয়ত কি?
প্রচলিত যেসব নিয়ত বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া যায়, এসবের কোন ভিত্তি নেই, এগুলো বিদআত। কারণ মুখে নিয়ত করাটা বিদআত। আর এসব নিয়ত গুলো কুরআন-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক নিয়ম
নিয়ত হচ্ছে সেটা, যেটা আপনি মনে মনে সংকল্প করেন। সুতরাং সকল নামাজের নিয়ত হবে মনে মনে।
ধরুন আপনি কাবলাল জুমুআহ পড়বেন। তাহলে মনে মনে এভাবে সংকল্প করতে পারেনঃ “কিবলামুখী হয়ে ২ রাকাত কাবলাল জুমুআহ পড়ার নিয়ত করছি”
তারপর আল্লাহু আকবার বলে যথারীতি সালাত শুরু করবেন।